শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রেমঘটিত বিষয়ের জের ধরে নাদিয়া (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। ২ জুলাই রবিবার রাতে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিয়ার মৃত্যু হয়। নাদিয়া কাংশা ইউনিয়নের গান্দিগাঁও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ওই গ্রামের নূর হকের কন্যা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাদিয়ার সাথে প্রতিবেশী এরশাদুলের ছেলে ফরহাদের সাথে গত দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পরিবারের সাথে আলোচনাও করে। এক পর্যায়ে মেয়ের অভিভাবকরা ছেলের অভিভাবকদের কাছে একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাবও পাঠান। কিন্তু ছেলের অভিভাবকরা বিয়ে করাতে রাজি না হওয়ায় ঈদের দিন থেকে নাদিয়া খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩০ জুন শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে নাদিয়া নিজ বাড়িতে বিষ পান করে গুরুতরভাবে আহত হয়। পরে আত্মীয় স্বজনরা তাকে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনদিন পর রবিবার সন্ধ্যায় নাদিয়ার মৃত্যু হয়। রাতে নাদিয়ার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ফরহাদের পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নাদিয়ার বাড়িতে চলছিলো শোকের মাতম।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া বলেন, বিষপানে এক স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি। তবে তা প্রেমঘটিত বিষয় কি না তা জানা নেই। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি।