একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী শেরপুরের মোখলেছুর রহমান তারাকে ময়মনসিংহ শহরের ধোপাখোলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪।
র্যাব-১৪ জানায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেরপুরের নকলা উপজেলার নকলা হাইস্কুল মাঠে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মোখলেছুর রহমান তারাসহ কয়েকজন রাজাকারের সহযোগিতায় ক্যাম্প স্থাপন করে। তার নেতৃত্বে রাজাকাররা নকলা গ্রামের সাধারণ মানুষদের ধরে ক্যাম্পে আনতো। নিরীহ গ্রামবাসীদের ক্যাম্পে নির্যাতন ও হত্যা করা হতো। ১৯৭১ সালের ২১ জুলাই রাতে নকলা থানার বিবির চর গ্রাম থেকে সোহরাব উদ্দিনসহ তার শ্যালক কুদ্দুস এবং কুদ্দুসের চাচাতো ভাই মোবারক আলীকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। সে সময় তাদের বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মো. শাহজাহান আলী সজুকে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর টর্চার সেলে নির্যাতন করা হয়।
২০১৬ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন ও লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মো. মোখলেছুর রহমান তারার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মামলা হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মোখলেছুর রহমান তারা মামলার তদন্ত শুরু হলে এলাকা থেকে পালিয়ে যান। ২০১৬ সালে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন।