ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়া গার্মেন্টসকর্মী শামসুন্নাহার (৪৫) অবশেষে মারা গেছেন৷ রোববার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে বিকেলে ময়নাতদন্তের কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। ভালুকা থানার ওসি কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, গাজীপুরের শ্রীপুরের রিদিশা গার্মেন্টসে কাজ শেষে শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। পথে ভালুকা সিডস্টোর এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এসময় ওই নারী একা থাকায় চলন্ত বাসেই ধর্ষণের চেষ্টা চালান চালক ও দুই সহকারী। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন নারী। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে তাকে মারধর করেন, তারপর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন। চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় ওই নারী মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে স্থানীয়রা প্রথমে ভালুকা সিডস্টোরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি ও পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত অবস্থায় শামসুন্নাহারকে প্রথমে সার্জারী ১০ নম্বর ওয়ার্ড ও পরবর্তীতে নিউরোসার্জারী বিভাগ থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করার পর রোববার বেলা পৌনে ১১ টায় তিনি মারা যান।
ভালুকা থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার পরপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে চালক রাকিব (২১), সহকারী আরিফ (২০) ও সুপারভাইজার আনন্দ দাসকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সাথে জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের পক্ষ থেকে চিকিৎসা ও দাফনকাজের খরচের জন্য ২৫ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
এদিকে নিহতের পরিবার ওই ঘটনায় প্রথমে ভুক্তভোগী বাস থেকে লাফ দেওয়ার কথা জানালেও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে শামসুন্নাহারকে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় ফেলে দেয়।