একটি অটোরিকশা কিনার জন্য জমি বিক্রি করেছিলেন রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। জমি বিক্রির চার লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে একটি ব্যাগে ভরে অটোরিকশায় করে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে ফিরছিলেন তিনি। ভুল করে সেই ব্যাগটি না নিয়েই অটোরিকশা থেকে নেমে যান তিনি। পরবর্তীতে সেখানে সেই অটোরিকশাটি আর পাননি রফিকুল। বিষয়টি পুলিশকে জানালে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেই টাকা উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দিয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ জুন) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলামের হাতে হারিয়ে যাওয়া টাকার ব্যাগ তুলে দেন ওসি শাহ কামাল আকন্দ।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বেলা ৩ টার দিকে রফিকুল ইসলাম (৫০) নগদ ৪ লক্ষ টাকাভর্তি একটি ব্যাগসহ চার্জার ফ্যান নিয়ে নগরীর পাটগুদাম ব্রীজ মোড় থেকে শম্ভুগঞ্জ বাজারে যাওয়ার উদ্দেশে অটোরিকশায় উঠেন। তিনি অটোর সামনে বসে টাকার ব্যাগটি রাখেন ও ফ্যানটি হাতে ধরে রাখেন। পরবর্তীতে শম্ভুগঞ্জ বাজারে আসলে ভুলবশত টাকার ব্যাগটি রেখে চার্জার ফ্যানটি নিয়ে অটোরিকশা থেকে নেমে যান। কিছুদূর যাওয়ার পর ব্যাগের কথা মনে পড়লে সেখানে ছুটে গিয়ে দেখেন অটোরিকশাটি স্থান ত্যাগ করেছে। পরে আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে অটোরিকশাটিকে না পেয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করেন রফিকুল।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, সাধারণ ডায়রির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ত্রিদীপ ও এএসআই ফরহাদ হোসেন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং আশপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই রিকশাচালককে শনাক্ত করে তার হেফাজতে থাকা টাকার ব্যাগটি উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে হস্তান্তর করা হয়। মানবিক দিক বিবেচনা করে খুবই দ্রুততার সাথে কাজটি করার চেষ্টা করেছে পুলিশ।
টাকার ব্যাগটি হেফাজতে রাখা অটোরিকশাচালক শহিদ মিয়া বলেন, ব্যাগটি রেখে যাওয়ার পর এর মালিককে আমি খুঁজেছি কিন্তু পাইনি।
হারানো টাকা ফিরে পাওয়ার পর পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ এত দ্রুত আমার হারিয়ে যাওয়া টাকা উদ্ধার করে দিতে পারবে তা আমি চিন্তাও করিনি। এখন আমি অনেক খুশি। একজন অসহায়ের পাশে এভাবে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।