২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বেশ কিছু পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছেন। এতে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
উল্লেখ্য, বাজেট ঘোষণার দিনই সাধারণত আমদানি শুল্ক ও করসংক্রান্ত প্রস্তাব কার্যকর হয়।
দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের—
হাতে তৈরি বিস্কুট–কেক
হাতে তৈরি বিস্কুটের ভ্যাট অব্যাহতি সীমা প্রতি কেজিতে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২০০ টাকা এবং কেকের ভ্যাট অব্যাহতি সীমা ৫০ টাকা বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এতে হাতে তৈরি বিস্কুট ও কেকের উৎপাদন খরচ কমবে। তবে পার্টি কেকে এই ছাড় নেই।
মিষ্টি
মিষ্টান্নভান্ডার সেবার ওপর এখন ভ্যাট রয়েছে ১৫ শতাংশ, যা অর্ধেক করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। মিষ্টি বিক্রেতারা চাইলে দাম কমাতে পারবেন।
ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধ
ম্যালেরিয়া ও যক্ষ্মার ওষুধে উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে দাম কমতে পারে। ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের কিছু ওষুধেও করছাড় দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
পশুখাদ্য
পশুখাদ্যের উপকরণ নারকেলের শুষ্ক শাঁসের উচ্ছিষ্ট উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এতে এর উৎপাদন ব্যয় কমতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবার
অপটিক্যাল ফাইবার কেবল উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটে। এতে এর দাম কমতে পারে।
উড়োজাহাজ ইজারা
যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত উড়োজাহাজ ইজারার ওপর ভ্যাট ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এতে ইজারার ব্যয় কমবে। সাধারণত বাংলাদেশ বিমান উড়োজাহাজ ইজারা নেয়। বেসরকারি এয়ারলাইনসও উড়োজাহাজ ইজারা নিয়ে যাত্রী পরিবহন করে। উড়োজাহাজের ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে অগ্রিম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
কনটেইনার
আমদানি ও রপ্তানিতে ব্যবহৃত কনটেইনার ব্যবসাকে উৎসাহ দিতে চায় সরকার। এ জন্য কনটেইনার আমদানিতে করভার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগে যা ধরনভেদে ৩১ ও ৩৭ শতাংশ ছিল।
অন্যান্য
ব্লেন্ডার, জুসার, প্রেশার কুকারের মতো গৃহস্থালি সরঞ্জাম উৎপাদনে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা আরও দুই বছর (২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বহাল থাকবে। একই সুবিধা পাবে ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ও ইলেকট্রিক ওভেন উৎপাদনকারী কারখানা। তথ্যপ্রযুক্তি ও কম্পিউটার পণ্য উৎপাদনে অব্যাহতি সুবিধা তিন বছর (২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) বাড়ানো হয়েছে।
রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজার উৎপাদনে এখনকার ৫ শতাংশের অধিক ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ এক বছর বাড়বে। স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপারের কাঁচামাল আমদানিতেও ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও এক বছর থাকবে। সাবান ও শ্যাম্পুর দুটি কাঁচামালে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা এক বছর বহাল রাখা হচ্ছে।