গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’ বঙ্গবন্ধুর এই নীতিতেই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষ ঐতিহ্যগতভাবেই শান্তি প্রিয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় আন্তর্জাতিক শান্তি মিশনে কাজ শুরু করে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা বাহিনী। জীবন উৎসর্গ করে মুখ শুধু উজ্জ্বলই করেনি, সকল শান্তি প্রিয় রাষ্ট্রের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকেও সফল করেছে।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে সোমবার (২৯ মে) সকালে নগরীর টাউন হলের অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, সকাল ৯টায় দিবসটি উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাউনহল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন, এশিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠান প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা অনন্য। গণততন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় বারবার হত্যার চেষ্টা হয়েছে শেখ হাসিনাকে। তবুও জীবন বাজি রেখে আপোসহীন নেত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, সত্যি গর্ব অনুভব করি যখন সারা বিশ্বের কাছে লাল সবুজের পতাকা উজ্জল করে রাখে সশস্ত্র বাহীনির সদস্যরা। শান্তিরক্ষীরা আত্মত্যাগের মাধ্যমে সম্মান বয়ে এনেছে।
ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ময়মনসিংহ সেনানিবাসের লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ইমরান হাসান, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, জাতিসংঘ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের কাজে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ তাদের পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা, ধর্ম-বর্ণ ও নারী-পুরুষের প্রতি সংবেদনশীল ও শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সফল ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছে, যা শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছে।