নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত রিয়াল বহনের অভিযোগে সৌদি আরবে বাংলাদেশের তিনটি হজ এজেন্সির দুজন মালিককে গ্রেফতার করেছে সৌদি পুলিশ।
মক্কায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন কোবা এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান এবং তার ছেলে ইউরো এয়ার ইন্টারন্যাশনাল ও আহসানা মালয়েশিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। এজেন্সিগুলোর অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীর এবার হজ পালনে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এদিকে এজেন্সি মালিকদের গ্রেফতারের ফলে হজযাত্রীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
জানা যায়, এই হজ এজেন্সিগুলোর মালিক বাবা-ছেলে নগদ ৯ লাখ সৌদি রিয়াল বহন করছিলেন, যা সৌদি আইন অনুযায়ী সীমার অতিরিক্ত।
এ বিষয়ে আশকোনা হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, তারা এক দিনে যে পরিমাণ নগদ টাকা উত্তোলন করেছেন তা সন্দেহজনক মনে হয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে। তাই তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে হজযাত্রীদের অনিশ্চয়তার কোনো কারণ নেই। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা করছি। হজযাত্রায় কোনো সমস্যা হবে না।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই তিনটি এজেন্সির অধীনে হজযাত্রীদের জন্য আগামী ১ জুন বিমানের টিকিট কনফার্ম করা আছে। মালিকদের গ্রেফতারের কারণে টিকিট নির্ধারিত তারিখের চেয়ে কমপক্ষে ১০ দিন পিছিয়ে দিতে বলেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এদিকে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাওয়া হজযাত্রীদের বিড়ম্বনার অভিযোগে ৮টি হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নোটিশে বলা হয়, গত ২১ মে ৮টি এজেন্সির হজযাত্রী মক্কায় আসেন। এ সব এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসায় যে হোটেলের ঠিকানা রয়েছে সেই হোটেলে না উঠিয়ে মক্কার বিভিন্ন হোটেলে ওঠায়। ফলে হাজিদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।