1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভোলায় কোস্টগার্ডের সফল অভিযান ‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস

১৩ বছর পালিয়েও রক্ষা হলোনা সাঁজাপ্রাপ্ত আল-আমিনের

মোঃ নাইমুর রহমান, শেরপুর
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

শেরপুরের নকলা থানাধীন চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলায় ১৩ বছর আত্মগোপনে থাকা যাবজ্জীবন সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আল-আমিন (৩২) কে নারায়নগঞ্জের রুপগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৪। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে তাকে। সে নকলা উপজেলার টালকী ইউনিয়নের নয়াবাড়ী এলাকার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে।গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান।

র‍্যাব সূত্র জানায়, ভিকটিম নকলা উপজেলার স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে পড়ালেখা করতেন। মোঃ আল-আমিন পাশাপাশি বাড়ীর বাসিন্দা। ২০১০ সালের মার্চের ১৮ তারিখে ভিকটিম স্কুল ছুটির পর স্কুল হতে বাড়ী ফেরার পথে অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় বিদ্যালয়ে হতে ২০০ গজ পূর্বে পাঁকা রাস্তার কালভার্টের নিকট পৌছানো মাত্রই কালভার্ট সংলগ্ন আড়া ছনের আড়ালে শুকনা ড্রেনে নিয়ে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা আল-আমিন ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ চেপে ধরিয়া জোড়পূর্বক ধষর্ণ করে অতঃপর বিবাদী দৌড়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের পর ভিকটিম কাঁদিতে কাঁদিতে বাড়ীতে গিয়ে তার মায়ের নিকট উক্ত ঘটনা জানায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মোঃ আবু সাঈদ নকলা থানায় হাজির হইয়া বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধর্ষণ মামলা রুজু হয়(মামলা নং-০৯, তারিখ-১৮/০৩/২০১০ ইং )।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলা সুষ্ঠু তদন্ত শেষে আসামীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০২০ সালের ১৮ মার্চে মোঃ আল-আমিন (৩২) এর বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ১০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ০৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।

ঘটনার পর থেকেই আসামী মোঃ আল-আমিন ১৩ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তিনি নারায়নগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি এবং সিএনজি চালক হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামির অবস্থান সনাক্ত করে কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান এর নেতৃত্বে র‍্যাবের একটি অভিযানিক বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত নারায়নগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জ থানাধীন বরপা এলাকা হতে মোঃ আল-আমিনকে তার আত্মীয়ের বাসা হতে আটক করে। ধৃত আসামীকে নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩