চার দেশের রাষ্ট্রদূতদের দেওয়া ‘বাড়তি নিরাপত্তা’ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানান, রাষ্ট্রদূতেরা চাইলে টাকার বিনিময়ে ‘আনসার রেজিমেন্ট গার্ডের’ মাধ্যমে সড়কে চলাচলে নিরাপত্তা (রোড প্রোটেকশন) নিতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও ভিআইপিদের নিরাপত্তায়ও এই আনসার গার্ড রেজিমেন্ট দেওয়া হবে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা জোরদার ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রীদের নিরাপত্তা কমাব না, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা যে আনসার গার্ড রেজিমেন্ট তৈরি করেছি, সবাইকে সেই গার্ড রেজিমেন্টের নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে আসব। আমরা পর্যায়ক্রমে মন্ত্রীদের এবং ভিআইপিদেরও আনসার গার্ড রেজিমেন্ট দেব।’
গত সোমবার থেকে চার দেশের রাষ্ট্রদূতকে দেওয়া বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা (এসকর্ট) সরকার প্রত্যাহার করে নেয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন জঙ্গির উত্থান হয়েছিল, অগ্নিসন্ত্রাসের একটা রাজত্ব হয়েছিল এখানে, তখন চারটি দূতাবাসকে আমরা সড়কে নিরাপত্তা দিতাম। এটি কিন্তু লিখিতভাবে দেওয়া হয়নি। তারাও আমাদের অনুরোধ করেনি। আমরাই তাদের দিয়েছিলাম, যাতে করে তারা কোনো রকম অসুবিধায় না পড়ে। আমরা মনে করি, সেই পরিস্থিতি এখন নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারপরেও যদি কোনো রাষ্ট্রদূত মনে করেন তাঁদের প্রয়োজন হবে, তাহলে নতুন করে ‘আনসার গার্ড রেজিমেন্ট’ তৈরি করা হয়েছে, তারাই সেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। এ জন্য অর্থ দিতে (অন পেমেন্ট) হবে। খরচটি দূতাবাসকে দিতে হবে।
এখন পর্যন্ত কোনো দূতাবাস আনসার গার্ড রেজিমেন্টের জন্য আবেদন করেছে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাত্র জানানো হলো, এখন যার যার প্রয়োজন হবে, জানাবে। তবে প্রতিটি দূতাবাসে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পাহারা রয়েছে। যে চার রাষ্ট্রদূতের কথা বলা হয়েছে, তাঁদের জন্য গানম্যানও রয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তা রয়েছে।