নিজেকে কখনো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তা, কখনো শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কখনো বা অন্য কোনো দপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। এভাবেই নানা পরিচয় দিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্রের মাধ্যমে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতেন। অবশেষে মুরাদুজ্জামান মুরাদ (৩০) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের উত্তর বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর রাতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নালিতাবাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রায়হানা ইয়াসমিন। মুরাদ পার্শ্ববর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার দুপুরিয়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুরাদ দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে বেকার ও চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন। ইতিমধ্যে জেলার অনেক বেকারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় ভুক্তভোগীরা পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ মুরাদকে গ্রেপ্তার করতে তৎপর ছিল।
এরই মধ্যে শ্রীবরদী উপজেলার ইন্দিলপুর এলাকার একজনকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ভুয়া নিয়োগপত্র হাতে দিয়ে দুই দফায় হাতিয়ে নেন ৬ লাখ টাকা। ওই ভুক্তভোগী শ্রীবরদী থানায় মামলা করেন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার বিকেলে নালিতাবাড়ীতে একইভাবে প্রতারণা করতে এলে থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে এবং পরে শ্রীবরদীর মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।