দেশে চলমান তীব্র দাবদাহ কাটিয়ে নেমেছে বৃষ্টি, জনমনে এসেছে স্বস্তি। এরই মধ্যে এলো দুর্যোগের খবর। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতি হতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০ কি.মি পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক, দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ ড. বিশ্বজিৎ নাথ এ তথ্য জানিয়ে বলেন, আগামী ৭ মে রাতের দিকে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং ৮-১০ মে এটা আরও তীব্র হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। আগামী ১৩ বা ১৪ মে বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
তিনি আরও জানান, সমুদ্রে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা থাকলে এবং আরও অন্যান্য কিছু মেকানিজম মিলে গেলে ঝড় তৈরি হতে পারে। বর্তমানে সমুদ্রে এর চেয়েও বেশি তাপমাত্রা রয়েছে। তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। বিভিন্ন আবহাওয়া মডেল পর্যালোচনা করেই তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশও ফেসবুকে এক পোস্টে জানিয়েছেন বঙ্গোপসাগরে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিনি জানিয়েছেন, খুবই শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানলে ১১ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি। এর গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। আর ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূল দিয়ে যায়, তাহলে সেটি আঘাত করবে ১৩ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে। সে ক্ষেত্রেও এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই আঘাত হানবে। তবে গতি কিছুটা কমে ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার হতে পারে।
আগামী ১০ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সেন্টমার্টিন ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে পর্যটকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।