১৫ দিনের সরকারি সফরে জাপানের টোকিওতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকালে টোকিও-তে পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইটে রওনা হন তিনি। তিন দেশের সরকারি সফরে টোকিওই প্রথম যাত্রাবিরতি, এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে টোকিওর সঙ্গে আটটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করছে ঢাকা। এর আগে সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর (বাংলাদেশ ও জাপান) উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে আটটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।’
জাপান সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ও একটি কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে মোমেন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তিনি চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করবেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের আমন্ত্রণে টোকিও থেকে ২৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ১ মে সংস্থার সদর দপ্তরে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পকের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর এ সফরে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অন্তত ১২৫ কোটি ডলারের ঋণসহায়তা চুক্তি হতে পারে।
এরপর ৪ মে পাঁচ দিনের সফরে যাবেন লন্ডনে। ৬ মে যুক্তরাজ্যের নতুন রাজা চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। ১৫ দিনের সফর শেষে ৯ মে দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।