ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়ার পথে যাত্রা শুরু করল পরীক্ষামূলক ট্রেন। আজ মঙ্গলবার ১টা ২১ মিনিটে ভাঙা স্টেশন থেকে একটি গ্যাংকার ট্রেন এবং পাঁচটি বগিবিশিষ্ট যাত্রীবাহী একটি স্পেশাল ট্রেন মাওয়ার উদ্দেশে ছেড়ে দিয়েছে।
এর মাধ্যমে মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও মুন্সিগঞ্জের মাটিতে প্রথমবারের মতো ট্রেন যাত্রা শুরু হলো। এর আগে ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত পর্যন্ত গ্যাংকার ট্রেন চললেও এবার গ্যাংকারের পাশাপাশি ৫ বগি বিশিষ্ট একটি বিশেষ ট্রেনও পরীক্ষামূলকভাবে চলছে।
পাশাপাশি এটি ৪২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে যাবে। দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নিচতলায় ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার রেলপথ। এর ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো ট্রেন পাড়ি দেবে।
এর আগে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ভাঙ্গা হয়ে মাওয়া পর্যন্ত টেস্ট রান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনকালে রেলমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকে আমাদের এই প্রকল্পের প্রাথমিক সফলতা ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাওয়া পর্যন্ত ট্রায়াল রান করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’
এ সময় মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে। আগামী বছর নির্ধারিত সময়ের (২০২৪–এর জুন) মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
পরে মন্ত্রীসহ অন্যরাও পরীক্ষামূলক ট্রেনের যাত্রী হিসেবে মাওয়ার উদ্দেশে ভাঙ্গা ছাড়েন।
ভাঙ্গা স্টেশন থেকে প্রথমে গ্যাংকার ট্রেন ছেড়ে দেয়। এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ের ৬৬২১ নম্বর ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত ৫ বগির স্পেশাল ট্রেন যাত্রা করে। যাত্রীবাহী হলেও এই স্পেশাল ট্রেনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ওঠেন। এ রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চালু হলে এ ট্রেনটিও সেই বহরে থাকবে। এই বিশেষ ট্রেনটি নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
পদ্ম সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর রুটে চলাচলের জন্য চীন থেকে ১০০টি নতুন কোচ আনার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৫টি বগি বাংলাদেশে এসেছে।