পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ডাকঘরের সামনের সড়কে শুক্রবার দুপুরে পথচারী শিক্ষক মনিকা রাণী মন্ডলের মালামাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে হৃদয় হাওলাদার মিরাজ ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মিরাজ উপজেলার পশ্চিম পশারী বুনিয়া গ্রামের ফিরোজ হাওলাদারের ছেলে।
থানা পুলিশ ও মামলার বাদী সূত্রে জানা গেছে, উত্তর পশ্চিম ধাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিকা রাণী মন্ডল ভান্ডারিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডাকঘরের সামনের সড়কে পৌঁছলে তার পিছু নেয় ছিনতাইকারী হৃদয় হাওলাদার মিরাজ ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম। রুমালে চেতনানাশক ওষুধ লাগিয়ে মনিকা রাণীর নাকের কাছে নিয়ে অচেতন করার সময় ছিনতাইকারী হৃদয় হাওলাদার মিরাজ নিজেও ওই ওষুধে আক্রান্ত হয়। এরপরও ছিনতাই থেমে থাকেনি। অচেতন অবস্থায় মনিকা রাণীর নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে দেয়। একপর্যায়ে মিরাজ অচেতন হয়ে পড়ে।
এ সময় অপর পথচারীরা সড়কের পাশে ভুক্তভোগী ও ছিনতাইকারী দুইজনকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। রাতে শিক্ষিকার জ্ঞান ফিরলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিনতাইকারী চিনতে পেরে তিনি থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ হাসপাতাল থেকে হৃদয় হাওলাদার মিরাজকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া দুটি সোনার কানের দুল, নগদ ১৯ হাজার ৫ শত টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে মনিকা রাণী মন্ডল বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই মামলায় হৃদয় হাওলাদার মিরাজ ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পিরোজপুর জেল হাজতে পাঠায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সর্মী রায় জানান, শিক্ষিকাকে চেতনানাশক ওষুধ ব্যবহার করে অচেতন করা হতে পারে।
ভান্ডারিয়া থানা অফিসার ইন চার্জ মো. আসিকুজ্জামান জানান, নেশাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে চুরির অপরাধে হৃদয় হাওলাদার মিরাজ ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগমকে গ্রেপ্তার করে শনিবার পিরোজপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেপ্তার মিরাজের বিরুদ্ধে খুলনা ও পিরোজপুর থানায় মামলা রয়েছে।