ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় আকলিমা বেগম (৪৫) নামে এক নারী তার ছেলের হাতে খুন হয়েছেন। পরিবার ও এলাকাবাসী বলছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে মোঃ রকিবুল হক রকি (২৪) ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তাঁর মাকে খুন করেছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রকি পরিবারের সঙ্গে উপজেলার পৌর এলাকার শিমরাইল গ্রামের রহমতগঞ্জ মোড়ে থাকেন। তিনি দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনি ওই গ্রামের মোঃ আঃ রাশিদের ছেলে। গত মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে রকির মা রকিকে ভাত খেতে দেয়। ছেলেকে ভাত দিয়ে তিনি খাটে শুয়ে ছিলেন। খাওয়ার পর রকি ঘরে থাকা কুড়াল দিয়ে তার মায়ের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী (মাকে) আকলিমাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে প্রতিবেশীরা রকিকে আটক করে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং রকিকে থানায় নিয়ে যায়।
অপরদিকে রকির বাবা আঃ রাশিদ (৬১) দাবি করেন, আমার ছেলে পাগল হওয়া এবং আজকের এই ঘটনার জন্য খোকন দায়ী। খোকনের জন্য আমার ছেলে পাগল হয়েছে। ছেলেকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে নগদ সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা নেয় খোকন। পরে সেনাবাহিনীর ভূয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে প্রতারণা করে। তখন থেকেই আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে। অনেক চিকিৎসা করেও ছেলেকে আর ভালো করতে পারিনি। আমার ছেলে পাগল না হলে আজকে এই ঘটনা ঘটতো না। আজকের এই ঘটনার জন্য খোকনই দায়ী এ দাবি করে তিনি বলেন, আমি এর বিচার চাই। খোকনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর উপজেলার বর্ধনপাড়া গ্রামে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পিএসএম মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, ঘটনার পর ব্যবহৃত কুড়াল হাতে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন রকিবুল হক। খবর পেয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।