ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার জনসভা সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে বিশেষ বর্ধিত সভা করেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। জনসমাগমের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার বার্তা দেন নেতারা। সেদিন ১৫-২০ লাখেরও বেশি জনসমাগম ঘটবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নগরীর টাউনহলস্থ অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ বিশেষ বর্ধিত সভায় ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর, জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতার অংশ নেন। দলীয় নেতারা ছাড়াও জেলা ও উপজেলাগুলো থেকে সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেয়ররা অংশ নেন।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহ্তেশামুল আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্তর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শিক্ষামন্ত্রী ও আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, দলের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং।
এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক প্রমুখ।
সভায় জামালপুর ও নেত্রকোনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জনসভায় লোকসমাগমের জন্য জনসভার দিন বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য দলের কাছে দাবি জানানো হয়। জেলার উত্তর অঞ্চল থেকে সমাবেশ প্রবেশের জন্য পাটগুদাম সেতুর বিকল্প হিসেবে জুটমিল এলাকা দিয়ে ভাসমান একটি সেতুর ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়।
এর আগে সবশেষ ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর সার্কিট হাউস ময়দানে জনসভায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।