ভালোবাসা দিবসে জামাই-শাশুড়ি একসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার আট দিন পার হলেও এখনো তাঁদের হদিস মেলেনি। এ ঘটনায় গত সোমবার আদালতে নালিশি মামলা করেন শ্বশুর। পরে আদালত জামাই-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আজ বুধবার মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মির্জাগঞ্জে শাশুড়িকে নিয়ে জামাই পালানোর ঘটনায় মামলার কথা শুনেছেন। কিন্তু আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ এখনো হাতে পাননি।
মামলার বাদী মুঠোফোনে বলেন, ‘আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেছি। কিন্তু আমার স্ত্রী ও জামাইয়ের কোনো হদিস পাচ্ছি না। থানায় কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। পুলিশ কোর্ট থেকে নাকি কাগজই পায়নি।’
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তির বড় মেয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত জামাইয়ের বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে। বিয়ের পর থেকে মেয়ের জামাতা স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। শ্বশুর কাজের সূত্রে প্রায়ই বাড়ির বাইরে থাকতেন। এ ফাঁকে শাশুড়ির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়ান জামাই। ১৪ ফেব্রুয়ারি শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে যান জামাই। এ সময় তাঁর শ্বশুর ঢাকায় ছিলেন। ঢাকা থেকে ফিরে তিনি জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী (শাশুড়ি) জামাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় সোমবার শ্বশুর বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্ত্রী ও জামাইকে আসামি করে নালিশি মামলা করেন। আদালতের বিচারক স্বপন কুমার দাস ওই দিনই অভিযুক্ত জামাই-শাশুড়ির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।