বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে শান্তি সমাবেশ করেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়স্থ জয়বাংলা চত্বরে এ শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশে হাজির হয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটুর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মারুফা আক্তার পপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মারুফা আক্তার পপি বলেন, আমরা শান্তির বাংলাদেশ চাই, আমরা উন্নত বাংলাদেশ চাই। আর এ কারণেই আমাদের এই শান্তি সমাবেশ। এ শান্তি সমাবেশের একটাই লক্ষ্য বিএনপি জামায়াতের সকল সন্ত্রাস-নৈরাজ্যকে প্রতিহত করে শেখ হাসিনাকে আবার প্রধানমন্ত্রী করা।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজপথেই বিএনপি-জামায়াতের কুকর্মের জবাব দেওয়া হবে। আমরা রাজপথে থেকেই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্র অপরাজনীতির মোকাবিলা করব।
শান্তি সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগ ময়মনসিংহ শাখার সভাপতি ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু সভাপতির বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামায়াত দেশে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দুর্নীতি ছাড়া কিছু দিতে পারেনি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় অধিষ্টিত হয়ে আমাদের দিয়েছেন উন্নয়নশীল বাংলদেশ, স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নারীর ক্ষমতায়ন, কৃষকের অধিকার ইত্যাদি। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ মানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়া, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মানে স্বনির্ভরতা।
সমাবেশের সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের ময়মনসিংহ শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম ফেরদৌস জিল্লু, সাবেক সহ-সভাপতি শাহজাহান পারভেজ, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন জাহাঙ্গীর বাবু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপন, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম শরিফ, সাবেক আইন সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম খোকন সহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।