রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল আজ সোমবার দুপুরে এ ঘোষণা দেন।
আজ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফরম বাছাই শেষে সিইসি এ ঘোষণা দেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে একজনই মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। মাত্র একজনের মনোনয়ন পত্র বৈধ থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয় আজকেই প্রজ্ঞাপন জারির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে গতকাল রোববার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। গতকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি পদে দলের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল করে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইনে মনোনয়নপত্র দাখিল সম্পর্কে বলা আছে, মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য নির্ধারিত দিন ও সময়ের মধ্যে কোনো সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোনো ব্যক্তিকে ওই পদের জন্য মনোনীত করে নির্বাচনী কর্তার কাছে একটি মনোনয়নপত্র দিতে পারবেন, যে মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে তাঁর স্বাক্ষর থাকবে এবং সমর্থক হিসেবে অন্য একজন সংসদ সদস্যের স্বাক্ষর থাকবে; সেই সঙ্গে যিনি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মনোনীত হতে যাচ্ছেন, তাঁরও ওই মনোনয়নে সম্মতিসূচক স্বাক্ষরিত বিবৃতি থাকবে।
মো. সাহাবুদ্দিনের জন্ম পাবনায়, ১৯৪৯ সালে। তিনি ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন তিনি। এরপর ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) ক্যাডার হিসেবে যোগ দেন। বিচারকের বিভিন্ন পদে চাকরি শেষে ২৫ বছর পর ২০০৬ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসর নেন।
২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এরপর ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডে চট্টগ্রামের জেএমসি বিল্ডার্স লিমিটেডের পক্ষে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এখন তিনি ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান।