চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামে আসা গম ভর্তি ট্রাকে মিলেছে বস্তা বস্তা বালু আর পাথর। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ট্রাক থেকে গম আনলোডের সময় বালুর বস্তার সন্ধান পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় খাদ্য কর্মকর্তা ও ট্রাক চালকরা বলছেন পরস্পর বিরোধী কথা। ঘটনা অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খাদ্য গুদাম সূত্রে জানা গেছে, ভোর রাতে খুলনা থেকে গম ভর্তি ৬টি ট্রাক এসে পৌঁছায় চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য গুদামে। দুপুরে ট্রাক ভর্তি সেসব গম আনলোডিং শুরু হয়। গম নামানোর সময় প্রথমে একটি ট্রাকে পাওয়া যায় ৬টি বালুর বস্তা। পরে প্রতিটি ট্রাক খুঁজে বের করা হয় ২৮টি বালুর বস্তা ও ৪টি বড় বড় পাথরের টুকরো।
চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, সরকারি বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩শ টন গম চুয়াডাঙ্গায় বরাদ্দ হয়েছে। এই চালানে ১শ টন গম ভোর রাতে এসে পৌঁছায়। এরপর ট্রাক ভর্তি গমের পরিমাণ নির্ণয় করে নামানো শুরু হয়। একপর্যায়ে ট্রাকের ভেতর থেকে পাওয়া যায় বালুর বস্তা। ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাক থেকে গম চুরি করে ওজন ঠিক রাখতে বালু আর পাথর দিয়ে তা সমন্বয় করার চেষ্টা করা হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম শহীদুল ইসলাম জানান, খুলনার ৪ নম্বর ঘাট থেকে গম লোড হয়েছিল। সেখান থেকে বালুর বস্তা ট্রাকে তোলার কোনো সুযোগ নেই। রাস্তার মধ্য থেকে এমন কোনো কারসাজি হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা তার।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে ওই ৬ ট্রাকের চালক ও সহকারী। তাদের দাবি, রাস্তার মধ্যে কোথাও মালামাল নামানো-ওঠানোর ঘটনা ঘটেনি। খুলনা থেকে সরাসরি চুয়াডাঙ্গায় এসেছে তারা।
ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আব্দুল হামিদকে প্রধান করে গঠন করা হয়েছে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটিকে আগামী এক কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।