গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কারের আদেশ তুলে নেওয়ার পর সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকেও ক্ষমা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মুরাদকে নারীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগে দলীয় পদ ও সংসদ সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠকে যারা দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছিলেন তাদের বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর মুরাদ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দেন।
ওই চিঠিতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একইসঙ্গে দল বা দলীয় প্রধানকে বিব্রত করতে পারে ভবিষ্যতে এমন কিছু করবেন না বলে জানান।
গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে মুরাদ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমার বিষয়ে তিনি এখনো কোনো চিঠি পাননি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন, ক্ষমা পাওয়া নেতাদের মধ্যে মুরাদও আছেন।
এর আগে, ২০২১ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা নাহিদ রেইনস পিকচার্স-এর ফেসবুক পেজে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুরাদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন।
এরপর অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহির মধ্যে ফোনালাপের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তিনি আরেকটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।