চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ায় পণ্য নিয়ে যাওয়া জাহাজের একটি খালি কনটেইনার থেকে বাংলাদেশি এক কিশোরকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যে জাহাজের কনটেইনারে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটি হলো হংকংভিত্তিক ‘এমভি ইন্টেগ্রা’। জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সল বলেন, ‘জাহাজের নাবিকেরা মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি আমাদের অবহিত করে। উদ্ধার কিশোরের বয়স ১২-১৫ বছর হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
স্থানীয় শিপিং এজেন্ট জানায়, ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি-১ জেটি থেকে জাহাজটি মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলায় বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। চার দিনের মাথায় ১৬ জানুয়ারি জাহাজটি কেলাং বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালে নাবিকেরা খালি কনটেইনারের সারির মধ্যে শব্দ শুনতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা বিষয়টি পোর্ট কেলাং বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানান। বন্দর কর্তৃপক্ষ পরদিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানোর অনুমতি দেয়। এরপর সন্দেহজনক কনটেইনার নামিয়ে ওই কিশোরকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
যে কনটেইনারটি থেকে কিশোরকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, সেটির মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক রিলায়েন্স এক্সপ্রেস লাইনের। প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিনিধি রিলায়েন্স শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, জাহাজটিতে রিলায়েন্সের ১০৫টি খালি কনটেইনার ছিল। ওর একটি থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জেনেছি। এটি নেমসন কনটেইনার ডিপো থেকে বন্দর দিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
নেমসন কনটেইনার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক কাজী মুরাদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। তবে ডিপো থেকে এক দরজা খোলা রেখে খালি কনটেইনার বন্দরে পাঠানো হয়। বন্দর ফটক দিয়ে ঢোকার সময় যাচাই করা হয়। ডিপো থেকে কারও খালি কনটেইনারে করে বন্দরে ঢোকার সুযোগ নেই। বন্দর দিয়ে খালি কনটেইনার জাহাজে তোলার আগে দরজা খুলে যাচাই করার কথা বন্দর কর্মীদের। এরপর দরজা বন্ধ করে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়।
বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, মালয়েশিয়ার বন্দর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এখনো জানায়নি। বন্দরকে অবহিত করার পর এটি খতিয়ে দেখা হবে।
গত অক্টোবরে চট্টগ্রাম থেকে মালয়েশিয়ায় পেনাং বন্দরে যাওয়া পণ্যবাহী জাহাজের একটি খালি কনটেইনারে একজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।