আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) ওঠেনি। ফলে প্রকল্পটির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রকল্পটি একনেক সভার আজকের কার্যতালিকায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রীও এই বিষয়ে কোনো কিছু জানতে চাননি। আমরা নিজেরাও এই বিষয়ে কিছু বলিনি।’
এদিকে, ইভিএম মেশিন কেনার প্রকল্পটি নিয়ে গত সপ্তাহে হঠাৎ করে তড়িঘড়ি শুরু করে সরকার। পরিকল্পনা কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগও প্রকল্পটি নিয়ে কাজ শুরু করে। তাই ধারণা করা হয়েছিল, কার্যতালিকার বাইরে এ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। তবে শেষপর্যন্ত সেটি হয়নি।
নির্বাচন কমিশন আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় গত ১৯ অক্টোবর। প্রকল্পটির নাম ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’। প্রকল্পের পুরো টাকা সরকার জোগান দেবে।
নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের আগে অবশ্যই প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা করতে হয়। যেখানে প্রকল্পের ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা তাঁদের মতামত তুলে ধরেন। কিন্তু ইভিএম প্রকল্পে এখন পর্যন্ত পিইসির সভাই হয়নি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আপত্তি থাকলেও নির্বাচন কমিশন আগামী জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নিতে চায়। এ জন্য প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিতর্কের পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকটের এ সময়ে বিপুল অর্থ ব্যয়ে ইভিএম কেনা ও এর পেছনে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।