বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বগুড়ার সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার (জেলা প্রশাসক) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হিরো আলমের করা পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে হিরো আলমের ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আইনগত বাধা নেই জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম।
হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে দুই আসনেই আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ইসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আলাদা দুটি রিট করেছিলাম। আজ রিট শুনানি শেষে হাইকোর্ট দুই আসনেই আমার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন।’
হিরো আলম বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ শেষে গত সোমবার থেকে অন্য প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছেন। হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় কাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সিংহ প্রতীক বরাদ্দের আবেদন করব। প্রতীক পাওয়ার পর আগামীকাল বুধবার থেকেই প্রচারণা শুরু করব।’
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের একটি তালিকা দাখিল করতে হয়। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের তালিকায় গরমিল পাওয়ায় হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপলি করেন হিরো আলম। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে আপিলের শুনানি হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে রোববার হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
দলীয় সিদ্ধান্তে দুটি আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। এই দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন হিরো আলম।