কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে অসুস্থ হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের দুজন নেতার মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান। আজ সোমবার ভোরে জেলার জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁরা মারা যান। গত শনিবার রাতে তাঁরা ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তির বাড়িতে দাওয়াতে যান। সেখান থেকে ফেরার পর থেকেই তাঁরা অসুস্থ বোধ করছিলেন।
তাঁদের সঙ্গে থাকা কুলিয়ারচর পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমানও অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে আছেন। হাবিবুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুছা দুই নেতার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান আওয়ামী লীগের সক্রিয় নেতা ছিলেন।
রাজনৈতিক সহকর্মী ও ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গিয়াস উদ্দিন ও জহির রায়হান ভালো বন্ধু ছিলেন। গিয়াস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। জহির রায়হানও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আছেন অনেক দিন ধরে। শনিবার রাতে তাঁরা এক ঘনিষ্ঠজনের বাড়িতে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন প্যানেল মেয়র হাবিবুর রহমান। রাতে ফেরার পর থেকে তিনজনই অসুস্থ বোধ করেন। পরদিন সকালে হাবিবুর রহমানকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে গতকাল ঢাকায় পাঠানো হয়। বর্তমানে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাত চারটার দিকে গিয়াস ও জহিরকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে প্রথমে মারা যান গিয়াস। এরপর হাসপাতালের চিকিৎসকদের পরামর্শে জহির রায়হানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক মো. বাহার উদ্দিন বলেন, দুজনকে হাসপাতালে ভোররাত চারটার দিকে আনা হয়েছিল।