কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন আমাতুল্লাহ বুশরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলার আসামি তিনি।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ফারহানা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালতের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে তা যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে আমাতুল্লাহ বুশরাকে আজ দুপুর ২টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তির পর আমাতুল্লাহ বুশরাকে তার পিতা মঞ্জুরুল ইসলাম নিয়ে যান।
গেল ৫ জানুয়ারি দুপুরে বুশরার পক্ষে জামিন শুনানি হয়। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল ও আব্দুর রহমান হাওলাদার। ৮ জানুয়ারি সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসীন ইফতেখার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৬ নভেম্বর তাকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে ডিএমপির রামপুরা থানায় ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে বুশরাসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। বুশরা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।