জামালপুরের ইসলামপুর পৌর মেয়রের দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারীতার প্রতিবাদে ও মেয়রের অপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে কাউন্সিলররা। রবিবার দুপুরে ইসলামপুর পৌর শহরের থানা মোড়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পৌরসভার সকল সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরবৃন্দ।
ইসলামপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র দেলোয়ার হোসেন লেবুর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মহন মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, ইসলামপুর পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখ বিধি বহির্ভূতভাবে স্বেচ্ছাচারীতা ও স্বজন প্রীতি করে নিজের আত্মীয়সহ ৩২ জনকে পৌরসভায় চাকরী দিয়েছেন। পৌরসভার এক কর্মচারীকে ঠিকাদারী লাইসেন্স দিয়ে ওই লাইসেন্সে মেয়র নিজেই সব ঠিকাদারী কাজ করেন। কাউন্সিলদের স্বাক্ষর নিয়ে মেয়র নিজের ইচ্ছামত রেজুলেশন লিখে তা বাস্তবায়ন করেন এবং পৌর পরিষদের সভার রেজুলেশন পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করা হয় না।
তাছাড়া রাস্তাঘাট, ড্রেন-কালভার্ট নির্মাণ ও সংস্কার, সড়ক বাতি স্থাপনসহ পৌরসভার নানা উন্নয়ন কাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ নকশা বা প্রাক্কলন অনুযায়ী বাস্তবায়ন না হলেও ঠিকাদারদের নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে মেয়র আব্দুল কাদের সেখ জামানতসহ শতভাগ বিল পরিশোধ করে আসছেন। এছাড়া ইসলামপুর বাজারের বি.জে.সি গোডাউন, কাঁচ্চা প্রেসের যন্ত্রপাতিসহ মালামাল লুটপাট ও আত্মসাত করেন এবং ওই জমি দখল করেন। সেখানে দোকানপাট স্থাপন করে প্রতিমাসে বিপুল পরিমাণ দোকান ভাড়া উত্তোলন করে তা নিজেই আত্মসাত করছেন এবং এই বিষয়টি স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক কর্তৃক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।
কাউন্সিলরগণ তাদের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে আহবান জানান। এ সময় কাউন্সিলররা পৌর মেয়র আব্দুল কাদের সেখের অপসারণ দাবী করেন, অন্যথায় সকল কাউন্সিলরগণ একযোগে পদত্যাগ করে পৌর পরিষদ বিলুপ্তের ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর কাউন্সিলর সামিউল, শফিক, সোহেল রানা, মোঃ শেখ খাজা আব্দুল্লাহ, এস এম মঞ্জুরুল হক, জুলহাস মিয়া, ফজলুর রশিদ, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মোছাঃ মাজেদা খাতুন, রত্না বেগমসহ সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।