আর্জেন্টাইনরা দাবিটা শুনে বলতে পারেন, মামাবাড়ির আবদার! বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ আবারও খেলতে হবে কেন? তবে ফ্রান্সের অনেকে কিন্তু সত্যি সত্যিই চান, কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ আবারও খেলা হোক। এ বিষয়ে প্রায় ২ লাখ মানুষের সই নিয়ে পিটিশনও করা হয়েছে।
গত রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪–২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ৩–৩ গোলে সমতায় ছিল। এই ম্যাচে রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফ্রান্স সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। ম্যাচের ২৩ মিনিটে পোলিশ রেফারি সিমন মার্চিনিয়াকের দেওয়া পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে ম্যাচের পর।
অনেকেই মনে করেন, ওসমান দেম্বেলে দি মারিয়াকে ফাউল করেননি। এরপর ৩৬ মিনিটে দি মারিয়ার দ্বিতীয় গোলের আগে ফ্রান্সের স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন, রেফারি তা দেখেননি—এ নিয়েও যুক্তিতর্ক হয়েছে। তবে ব্যাপারটি এখন আর শুধু যুক্তিতর্কেই সীমাবদ্ধ নেই।
অনলাইনে পিটিশনের প্ল্যাটফর্ম ‘মেসওপিনিয়নস’–এ বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ পুনরায় খেলার দাবিতে একটি পিটিশন করা হয়েছে। পিটিশনের নাম—‘রেফারিকে কিনে নেওয়া হয়েছিল, পেনাল্টিটি হয় না + দ্বিতীয় গোলের আগে এমবাপ্পে ফাউলের শিকার হয়। ম্যাচটি পুনরায় খেলার দাবিতে সই করুন।’
‘ইকোনমিক টাইমস’ জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত এই পিটিশনে সইয়ের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। আজ সংখ্যাটা আরও বাড়াই স্বাভাবিক। সর্বোচ্চ সই পাওয়া শীর্ষ ২০টি পিটিশনের মধ্যে আছে এটি। ৫ লাখ সই টপকে গেলে এই পিটিশন ফরাসি অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সর্বোচ্চ সই পাওয়া তিনটি পিটিশনের একটি হবে। পিটিশনে সই করা বেশির ভাগ নাগরিকই ফ্রান্সের এবং মন্তব্যসংখ্যা ৮৫ হাজারের বেশি।
একজনের মন্তব্য, ‘রেফারি দুর্নীতি করেছে।’ আরেকজনের মন্তব্য, ‘রেফারির আচরণ সন্দেহজনক ছিল।’
হারের জ্বালা সইতে না পেরে ফ্রান্সের ফুটবলপ্রেমীরা এর আগেও পিটিশন করেছেন। ১৮ মাস আগে ইউরোর শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ডের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্স। এই হারের পরও পিটিশন করা হয়েছিল। পিটিশনের দাবি ছিল, কিলিয়ান এমবাপ্পে স্পটকিক নেওয়ার সময় সুইস গোলকিপার ইয়ান সোমের গোললাইন ছেড়ে বের হয়ে এসেছিলেন।