দেশের ঐতিহ্যবাহী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলন শুরু হয়।
শুরুতে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা নির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
পরে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। পরে তিনি মঞ্চে যান।
মঞ্চে রয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের নেতারা। মঞ্চে ১২০ জনের বসার ব্যবস্থা রয়েছে।
উদ্বোধনী পর্বে রয়েছে কোরআন তিলাওয়াতসহ বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শোকপ্রস্তাব উপস্থাপন করবেন দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ওবায়দুল কাদের।
স্বাগত বক্তব্য দেবেন অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ ফজলুল করিম সেলিম। সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষ হবে।
সম্মেলন উপলক্ষে আজ সকাল থেকে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে আসতে থাকেন দলটির নেতা-কর্মীরা। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর পদচারণে পুরো এলাকায় একটি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এবারের সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’।
এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় ২১ হাজার কাউন্সিলর ও প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। আমন্ত্রিত অতিথি মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি দূতাবাসের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বেলা তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে বসবে কাউন্সিল অধিবেশন। শুরুতে বর্তমান নির্বাহী কমিটির মুলতবি বৈঠক। এরপর নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ূনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন মঞ্চে আসবে। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা মঞ্চ থেকে নেমে সামনের আসনে বসবেন। এরপর শুরু হবে নেতা নির্বাচন। সাধারণত আওয়ামী লীগের নেতা নির্বাচিত হয় আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তিতে। এবারও সেভাবেই হবে বলে দলের নেতারা মনে করছেন।