1. info@provatferri.com : admin :
  2. provatferri.bd@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ডেভিল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপারেশন ডেভিল হান্ট: দ্বিতীয় দিনে গাজীপুরে গ্রেফতার অন্তত ১০০ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান গাজীপুরে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জন ঢামেকে ভর্তি গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল ধানমন্ডি ৩২ এসে এক নারী ও পুরুষের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, অতঃপর…

আজ জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস

শফিকুল ইসলাম, জামালপুর
  • আপডেট : রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২

আজ ৪ ডিসেম্বর জামালপুরের ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদারমুক্ত হয় এই অঞ্চলটি। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় ঘেষা জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুরে যুদ্ধের শুরুতেই হানাদারবাহিনী গড়ে তুলে শক্তিশালী ঘাটি। মুক্তিযুদ্ধে ১১নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের উপর্যুপরি আক্রমণে একাত্তরের এদিনে হানাদার বাহিনীর আত্বসমর্পণের মধ্য দিয়ে শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর। মূলত, ধানুয়া কামালপুর মুক্ত হবার মধ্য দিয়ে সূচীত হয় জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ছাড়াও দেশের উত্তর মধ্যাঞ্চলের জেলাগুলোসহ ঢাকা বিজয়ের পথ।

মুক্তিযুদ্ধে ১১ নং সেক্টরের ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এই সেক্টরের সদর দপ্তর ছিল জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ থানায়। আর সীমান্তের এ পারেই ধানুয়া কামালপুরে ছিল হানাদার বাহিনীর শক্তিশালী ঘাটি। রণকৌশলের দিক থেকে তাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট ধানুয়া কামালপুর ঘাটি দখল করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কামালপুর বিজয়ের লক্ষ্যে একাত্তরের ১১ নভেম্বর পাক সেনাদের শক্তিশালি ঘাটিতে আক্রমণ শুরু করে মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এই ঘাটির হানাদারররা। ২৩ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হানাদার বাহিনীর গ্যারিসন অফিসার আহসান মালিকের নেতৃত্বে ১৬২ জন সৈন্যের একটি দল যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসর্মপন করতে বাধ্য হয়। শত্রুমুক্ত হয় ধানুয়া কামালপুর ।

এখনো সেসব স্মৃতিচারণ করেন এখানকার মুক্তিযোদ্ধারা। ১১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্ণেল আবু তাহের বীর উত্তম। এই সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধা ছিলো ২২ হাজার। ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ শহীদ হয় ১৯৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। নিহত হয় ৪৯৭ জন শত্রুসেনা। যুদ্ধে আহত হয় সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবু তাহের। মুক্তিযুদ্ধের অনেক ঐতিহাসিক স্মৃতি রয়েছে ধানুয়া কামালপুর রণাঙ্গনে। অনেকটা অবহেলায় পড়ে রয়েছে অনেক শহীদের কবর আর বধ্যভূমি।

মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আজ রবিবার বিকেলে ধানুয়া কামালপুরে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩