অপহরণ মামলায় খালাস পেয়েছেন হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণসহ ১১ মামলার আসামি চাঁদপুরের আলোচিত ‘ক্রমিক খুনি’ রসু খাঁ। আজ রোববার দুপুরে চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি রসু খাঁ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে আরও ছয়টি মামলা বিচারাধীন থাকায় এখনো তিনি কারাগারে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি সাইয়েদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী খোরশেদ আলম বলেন, অপহরণের শিকার নারী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। ২০০৪ সালের ৬ ডিসেম্বর রসু খাঁ বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই পোশাক শ্রমিককে চাঁদপুরে নিয়ে আসেন। ওই নারী চাঁদপুরে গিয়ে দেখেন, রসু খাঁর স্ত্রী-সন্তান আছে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে ওই নারীকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রসু খাঁ তাঁকে জখম করেন। ওই নারী চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রসু খাঁ পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন ওই নারীকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে ওই নারীর বাবা চাঁদপুরে আসেন এবং মেয়ে সুস্থ হওয়ার পর ২০০৫ সালের ৬ জানুয়ারি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমান তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ২৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
আদালত পুলিশ জানায়, ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে রসু খাঁকে টঙ্গী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে রসু খাঁর সংঘটিত খুনের কাহিনি বেরিয়ে আসতে থাকে। তিনি ১১টি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জে ছয়টি, চাঁদপুর সদরে চারটি ও হাইমচরে একটি। রসু খাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও অপহরণের ১১টি মামলা করা হয়। এর মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড ও দুটিতে খালাস পেয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমানে ছয়টি মামলা বিচারাধীন।