সাড়ে ৭ বছর পর আগামী ২৮ নভেম্বর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সম্মেলন সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। ইতিমধ্যে সম্মেলনস্থলে মঞ্চসহ অন্যান্য সাজসজ্জার কাজ চলছে পুরোদমে। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। সম্মেলনের মাধ্যমে ত্যাগী ও যোগ্যদের মূল্যায়নের করা হবে পাশাপাশি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দল হবে সুসংগঠিত এমনটাই প্রত্যাশা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা। দলীয় কর্মকান্ডে নিজেদের সক্রিয়তা ও অস্তিত্বের জানান দিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলার নেতাদের সমর্থনে ব্যানার-পোস্টার টানাচ্ছেন জেলা, উপজেলাসহ তৃণমূলের নেতারা। ইতিমধ্যে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও তোরণে ছেয়ে গেছে পুরো শহর।
বিগত ২০১৫ সালের ২০ মে জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে সম্পন্ন হয়েছিল জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। এবারো একই মাঠে আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলন। সম্মেলনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, এছাড়াও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধূরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনস্থলে নৌকা সাদৃশ্য মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে যেখানে ২শতাধিক নেতার বসার ব্যবস্থা থাকবে। জেলার ৭টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিট থেকে নেতা-কর্মীরা যোগ দেবেন সম্মেলনে।
আয়োজকরা বলছেন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে সম্মেলনের দিন। সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রাণ সঞ্চার হবে। অভিজ্ঞ ও তরুণদের সমন্বয়ে জেলা আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব তৈরি হবে, যেখানে মূল্যায়ণ করা হবে ত্যাগী ও যোগ্যদের। তবে যাকেই নেতৃত্বে আনা হোক তৃলমূল পর্যন্ত সবস্তরের নেতা-কর্মীরাই ওই নেতৃত্বকে মেনে নিবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত নতুন নেতৃত্ব দলকে তৃণমূল পর্যন্ত আরও সুসংগঠিত করতে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।
জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জানান, প্রতিটি পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। দলে প্রতিযোগীতা আছে কিন্তু কারও মধ্যে কোন প্রতিহিংসা নেই। বর্তমান কমিটির নেতৃত্বে সকল পর্যায়ের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছে। আগামী দিনের লড়াই সংগ্রামে নবগঠিত কমিটির নেতৃত্বেও আমরা বিজয়ী হব।
ঐতিহ্যবাহী ও পুরনো রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সফল ভাবে সম্পন্ন হবে এবং নতুন নেতৃত্ব দলকে সুংসহত করতে যেমন অবদান রাখবে তেমনি জেলাবাসীর উন্নয়নেও কাজ করবে বলে প্রত্যাশা সকলের।