1. info@provatferri.com : admin :
  2. provatferri.bd@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ডেভিল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপারেশন ডেভিল হান্ট: দ্বিতীয় দিনে গাজীপুরে গ্রেফতার অন্তত ১০০ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান গাজীপুরে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জন ঢামেকে ভর্তি গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল ধানমন্ডি ৩২ এসে এক নারী ও পুরুষের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, অতঃপর…

শিশুদের অনুসরণ করে যেভাবে মিলল ২৫ লাখ জাল টাকা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুই শিশু এক বান্ডিল টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেশ দূরের বাজারে গিয়েছিল মিষ্টি কিনতে। সেখানে গিয়ে ১ হাজার টাকার নোট দিলে শিশুদের নিকট ১ হাজার টাকার নোটের বান্ডিল দেখে দোকানীর সন্দেহ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুই শিশুর কাছ থেকে ৯০টি এক হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিশুদের অনুসরণ করে সন্ধান পাওয়া যায় জাল নোট তৈরির কারখানা। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় আরও ২৪ লাখ টাকার নোট ও জাল টাকা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের বৃণ্ডদেবস্থান গ্রামের বৃদ্ধ কাশেম মিয়ার ৯ ও ১১ বছর বয়সী দুই নাতি শনিবার সকালে ঈশ্বরগঞ্জ বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করতে গেলে জাল নোটের বিষয়টি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে এসে শিশু দুটিকে নিয়ে জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়। তারা কাশেমের বাড়িতে গেলে লোকজন প্রথমে জাল টাকার ঘটনা শুনে অস্বীকার করেন।

তবে পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে একটি বড় ট্রাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ কাগজ উদ্ধার করে। ওই কাগজগুলোয় টাকার নোটের নিরাপত্তা সুতার মতো দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। এসময় ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই মো. আশরাফুল একটি চালাঘরে ঢুকে বালু খুঁড়ে একটি ব্যাগ উদ্ধার করে এর ভেতরে ১ হাজার টাকার নোটের ২৪টি বান্ডিল পান। প্রতিটি বান্ডিলে ১০০ নোট ছিল। পুলিশ আরেকটি ঘরের সিলিং তল্লাশি করে নিরাপত্তা সুতার মতো দেখতে পেয়ে দুই বান্ডিল কাগজ উদ্ধার করেছে।

এ বিষয়ে কাশেম মিয়া কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তবে স্থানীয়রা জানান, তাঁর তিন ছেলে ও ছয় মেয়ে। বড় ছেলে ডালিম মিয়া বেকার। তিনি বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। পুলিশ তাঁর খোঁজে কয়েক দিন পর পর বাড়িতে আসে। এ কারণে তিনি পলাতক থাকেন। অন্যদিকে, এক মেয়ের জামাই সেলিম মিয়া কয়েক মাস আগে ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েন। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত। স্থানীয়রা আরও জানান, দু’দিন আগে সেলিম শ্বশুরবাড়ি থেকে একটি বস্তা নিয়ে গেছেন। তাতে জাল টাকা ছিল বলে গ্রামবাসীর ধারণা।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, দুই শিশু ও তাদের নানাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩