দীর্ঘ চার বছর পর দরজায় কড়া নাড়ছে ফুটবল বিশ্বকাপ। কাতার বিশ্বকাপের শুরুর সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সেই বাড়ছে উন্মাদনা।
বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রতি আসরেই আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল এই দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে বাংলাদেশের দর্শকরা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে বিভক্ত ময়মনসিংহের ক্রীড়াপ্রেমিরাও। শুধু তাই নয়, শুরু হয়ে গেছে বিভিন্ন স্থানে প্রিয়দলের পতাকা টানানোর প্রতিযোগিতাও। এমনই জেলার নান্দাইলের সড়কে তিন হাজার ফুট লম্বা পতাকা টানিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছে আর্জেন্টাইন ভক্তরা।
নান্দাইল চৌরাস্তা বাজার থেকে নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কজুড়ে বিশাল আকৃতির পতাকাটি টানানো হয়েছে। বাঁশ এবং রাস্তার পাশে লাগানো গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। বিশাল আকৃতির পতাকা দেখে রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ নিজের মোবাইল ফোনে তা ধারণ করে নিচ্ছে।
চৌরাস্তা অটো সংগঠনের উদ্যোগে এ পতাকা বানানোর কাজ করেছেন- আল-আমিন, আশিক ভূঁইয়া, এমদাদুল হক বাচন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ ও ফাহিম ভূঁইয়া।
তারা জানান, নান্দাইল রোড বাজারের আব্দুল মতিনের টেইলার্সে ছয় দিন লেগেছে বিশাল তিন হাজার ফুট লম্বা পতাকা সেলাই করতে। এজন্য লেগেছে ১৫০০ গজ কাপড়। সবমিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। পতাকাটি তৈরির পিছনে সার্বিক সহযোগিতা করেছে নান্দাইল বাজারের ব্যবসায়ী মন্ডল অটো হাউজের মালিক ফরিদ উদ্দিন মন্ডল।
উদ্যোক্তাদের মধ্যে আশিক ভূঁইয়া বলেন, ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনা দলের সমর্থন করি৷ ফেসবুকে-টিভিতে অনেক বড় বড় পতাকা বানানো দেখেছি। গত বিশ্বকাপ থেকেই আমাদের পরিকল্পনা ছিল আমরাও বিশাল একটি পতাকা বানাবো৷ সেজন্যই এবার এটি করেছি। এটি আর্জেন্টিনা দলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা। এবার আমরা আশাবাদী আর্জেন্টিনা বিশ্বজয়ী হবে৷
পতাকা দেখে মোশারফ হোসেন রিয়াদ নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী বলেন, এত বড় পতাকা নান্দাইলে আমার জানামতে কেউ এখনোও টানায় নি। আমি গতকাল শুনেছি পতাকাটি টানানো হয়েছে তাই দেখতে এলাম। প্রিয় দলের বিশাল বড় পতাকা দেখে খুব খুব ভালো লাগছে।
পতাকা সেলাই কাজের কারিগর আব্দুল মতিন জানান, তিনি এবং তার স্ত্রী মিলে ছয় দিনে পুরো পতাকা সেলাই করেছেন। জীবনে এমন বড় পতাকা কখনও সেলাই করা হয়নি তার৷ আর্জেন্টিনা দলের প্রতি ভালোবাসা থেকে আগ্রহ নিয়ে পতাকাটি সেলাই করেছেন। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাবেননি তিনি। যত টাকা দেয় তাই নিবেন।