বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, বাংলাদেশ তার অসাধারণ উন্নয়নের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। তিনি একে “উন্নয়নের একটি সফল ঘটনা হিসেবে” বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি সফল ক্ষেত্র এবং একটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক অর্জন করেছে। বাংলাদেশ তার উন্নয়নের মাধ্যমে চমক সৃষ্টিকারী দেশগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠছে।’
আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে মুক্ত ও স্বচ্ছ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংককে যুদ্ধ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। কারণ যুদ্ধের ফলে সঙ্কটে সমগ্র বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশগুলোর নিজস্ব সম্পদ নিয়ে অভিযোজন ও প্রশমনে কাজ করছে।
উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে কানেক্টিভিটি জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে দেশের উন্নয়ন করছে এবং যাতে জনগণ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে উন্নত ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে পারে সেজন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্ব ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার সফলভাবে এমডিজি বাস্তবায়ন করেছে এবং এখন এসডিজি বাস্তবায়নে কাজ করছে।
বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি যৌথভাবে উদযাপনের প্রস্তাব দিয়েছেন মার্টিন রাইজার। তিনি ১৯৭২ সালের ৩১শে জানুয়ারী গণভবনে জাতির পিতার সাথে তোলা বিশ্বব্যাংকের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট স্ট্রেঞ্জ ম্যাকনামারার একটি ছবিও হস্তান্তর করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলা সেক উপস্থিত ছিলেন।