1. info@provatferri.com : admin :
  2. provatferri.bd@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

নতুন-পুরনো কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না গ্রামীণফোন

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২২

এখন থেকে গ্রামীণফোন নতুন বা পুরান কোনো সিম বিক্রি করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি। সেবার মান উন্নয়নসহ বেশ কিছু শর্ত পূরণ করতে না পারায় এ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

রোববার বিটিআরসির এক অনুষ্ঠানে এ সিদ্ধান্ত জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম ‍সুন্দর সিকদার।

গ্রামীণফোনের ওপর কেন এই নিষেধাজ্ঞা, সে ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বিশেষ কারণের কথা জানিয়েছে।

আজ রোববার বিটিআরসির কার্যালয়ে মুঠোফোন অপারেটরদের সেবার মান পরিমাপের জন্য নতুন ও অত্যাধুনিক ‘কোয়ালিটি অব সার্ভিস বেঞ্চমার্কিং সিস্টেম’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিটিআরসি কর্মকর্তারা এক প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণফোন বিষয়ে সিদ্ধান্তের পেছনে কারণ তুলে ধরেন।

গ্রামীণফোনের সিম বিক্রি নিয়ে বিটিআরসি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কোনো টানাপোড়েন চলছে কি না, তা জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, মন্ত্রণালয় সিম বিক্রিতে একটা নির্দেশনা দিয়েছে। এই সিম বিক্রির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নেওয়ার কোনো বিধান নেই।

বিশেষ কারণে মন্ত্রাণলয় থেকে একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণটি হচ্ছে, যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয় ,সেদিন সেখানে নেটওয়ার্ক ভালো ছিল না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেটা প্রত্যক্ষ করেছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাদের সচিবকে ফোন করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এর আগেও প্রচুর অভিযোগ ছিল এবং এখনো আছে। সেবার মান খারাপ। এ ছাড়া আদালতে রিটও ছিল। এগুলো বিবেচনায় মন্ত্রী গ্রামীণফোনের নতুন সিম বিক্রি বন্ধের জন্য বলেছিলেন। এরপর সেনাবাহিনী, পুলিশের কাছ থেকে চাহিদা আসে, তারা সিম চায়। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আছে, নতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু আমি তো নতুন সিম বিক্রির অনুমতি দিইনি। পুরোনো সিম দিয়েছি, রিসাইকেল করার জন্য। এই পুরোনো সিম প্রায় ১৩ লাখ তাদের কাছেই ছিল।’

বিটিআরসি চেয়্যারমান জানান, নিষেধাজ্ঞার পর গ্রামীণফোনের ৩৪ লাখ গ্রাহক কমেছে। তবে বাজারে তাদের চাহিদা আছে। গত সেপ্টেম্বরে বিটিআরসি গ্রামী

এছাড়াও বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইল ফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। ফলে তা কারো জন্য ক্ষতিকর নয়।

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, দেশে কোনো মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক সেবা সন্তোষজনক নয়। পাশাপাশি বর্তমানে মোবাইল ডেটাপ্যাকের দামও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সঠিক দাম নির্ধারণে বিটিআরসি কাজ করছে। নতুন বছরের জানুয়ারি থ্রিজি মোবাইল আমদানি ও উৎপাদন বন্ধ হবে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।

অত্যাধুনিক কোয়ালিটি অব সার্ভিস বা কিউওএস বেঞ্চমার্কিং সিস্টেম চালু করলো বিটিআরসি।এতে গ্রাহকরা মানসম্মত সেবা পাচ্ছেন কিনা এবং মোবাইল ফোন অপারেটররা কী মানের সেবা দিচ্ছেন তা ব্যাপকভাবে দ্রুত সময়ে যাচাই করা যাবে বলে জানান তিনি।

বিটিআরসি চেয়ারমান শ্যাম ‍সুন্দর সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩