ভোলায় নির্ধারিত সময়ের ছয় ঘণ্টা আগে চলমান বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোলা বাস মালিক সমিতি। আজ শনিবার দুপুর ১২টা থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে আজ ছয়টা পর্যন্ত ভোলার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল ভোলা বাস মালিক সমিতি। তবে বাসশ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছয় ঘণ্টা আগেই ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় বাস মালিক সমিতি।
এদিকে ভোলা-বরিশাল রুটে তৃতীয় দিনের মতো লঞ্চ চলাচল বন্ধ আছে। তবে তিন থেকে চার গুণ বেশি ভাড়ায় ভোলার ভেদুরিয়া থেকে বরিশালের লাহারহাটে স্পিডবোট চলছে। এ ছাড়া ভোলা থেকে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুর নৌপথে ফেরি চলাচল করছে। ভোলা থেকে চট্টগ্রামের রুটে বাস চলাচলও স্বাভাবিক আছে।
ভোলা বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাস বন্ধ থাকায় শ্রমিকেরা না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। যাত্রীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ৫ টাকার জায়গায় ৫০ টাকা খরচ হচ্ছে। এ কারণে আমরা বাস মালিক সমিতির নেতাদের কাছে বাস ছাড়ার অনুরোধ করেছি।’
ভোলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, বরিশাল বিভাগীয় বাস মালিক সমন্বয় পরিষদের নির্দেশে এবং মহাসড়কে অবৈধ থ্রি-হুইলার বন্ধে তাঁরা বাস ধর্মঘট ডেকেছিলেন। কোনো রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য নয়। তবে বাসশ্রমিকদের কথা চিন্তা করে তাঁরা আজ দুপুর ১২টায় ভোলার অভ্যন্তরীণ সব রুটে বাস চলাচল শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে ভোলার অভ্যন্তরীণ সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বাস বন্ধ থাকার সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে চার থেকে পাঁচ গুণ ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছিল।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোলা থেকে চরফ্যাশন পর্যন্ত অটোরিকশায় প্রত্যেকের ভাড়া ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। তবে বাস বন্ধ থাকায় অটোরিকশাগুলো ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে বলে দাবি করেছেন যাত্রীরা।
চরফ্যাশনের যাত্রী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বরিশাল থেকে চরফ্যাশন যেতে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা খরচ হতে পারে। কিন্তু খরচ হচ্ছে দুই হাজার টাকার মতো। প্রত্যেকে ৫০০ টাকা দিয়ে লাহারহাট থেকে স্পিডবোটে ভোলার উদ্দেশ্যে এসেছি।’