ময়মনসিংহের পাগলা থানার চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল হোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল- মকবুল হোসেন (৫৫), জাবেদ (২৫), কাজল মিয়া (৬০), শরীফ (৩২) ও সোহেল মিয়া। মকবুল বাদে অন্য চারজন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার বাসিন্দা।
পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা জানান, গত ৩১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার খুরশিদ মহল ব্রিজের পূর্ব ঢালে রাস্তার পাশে ঝোপঝাড়ের আড়াল থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানাযায় নিহত ব্যক্তিটি গফরগাঁওয়ের তেতুলিয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক নাছির উদ্দিন (৪৫)। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই নুরুল আমিন বাদী হয়ে পাগলা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত এবং অভিযানে নামে ডিবি পুলিশ। ধারাবাহিক অভিযানে নেমে বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত চার ছিনতাইকারী এবং ছিনতাইকৃত অটোরিকশা উদ্ধারসহ সোহেল নামে একজন গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৯ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে গফরগাঁওয়ের জামতলা চৌরাস্তা থেকে আসামিরা হোসেনপুর যাওয়ার কথা বলে নাছির উদ্দিনের অটোরিকশায় ওঠে৷ পৌনে ৯ টার দিকে হোসেনপুর ব্রিজের কাছে পৌঁছলে চালকের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর ঝোপঝাড়ের আড়ালে তার মরদেহ ফেলে যায়৷ পরে তার অটোরিকশা ও মোবাইল সেটটি ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।
এসপি মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা আরও বলেন, এ হত্যার মূল হোতা মকবুল সেলুনে চুল কাটার আড়ালে অপরাধ চক্রের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও পরিকল্পনা করে থাকে। একেক সময় একেকজনকে সাথে নিয়ে কিশোরগঞ্জ ও ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী এলাকায় চালককে কখনো মারপিট করে, কখনো নেশাজাতীয় পানীয় খাইয়ে অচেতন করে অটোরিকশা চুরি ও ছিনতাই করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরি, ডাকাতি, অস্ত্র ও হত্যা মামলা রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।