শনিবার (৫ নভেম্বর) বরিশালে বিএনপির গণসমাবেশ। এদিকে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই বরিশালের সঙ্গে ভোলার সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অনানুষ্ঠানিকভাবে বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেল থেকে পরিবহন চলাচল বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবার লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সূত্র জানায়, বরিশাল থেকে ভোলার উদ্দেশে ১৪টি লঞ্চ ছেড়ে যেত প্রতিদিন। বৃহস্পতিবার একটি লঞ্চও ছেড়ে যেতে দেওয়া হয়নি। শ্রমিক লীগ নেতা পরিমল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে বরিশাল নৌবন্দরে পাহারা বসানো হয়েছে। অপরদিকে ভোলা লঞ্চঘাটে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাহারা দিচ্ছেন।
বরিশালে গণসমাবেশের সমন্বয়কারী বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরীন বলেন, ভোলা থেকে বরিশালে তিন হাজার নেতাকর্মী এসে পৌঁছেছেন। তারা সমাবেশস্থল এবং এর আশপাশে অবস্থান নিয়েছেন। বিকল্পভাবে অপর নেতাকর্মীরা আসার চেষ্টা করছেন। ক্ষমতাসীনরা সমাবেশ পণ্ড করার যতই চেষ্টা করুক, সাধারণ মানুষকে নিয়ে আমরা সোচ্চার রয়েছি সমাবেশ সফল করার জন্য।
বরিশাল নৌবন্দরের পরিবহন পরিদর্শক কবির হোসেন বলেন, বরিশাল-ভোলা রুটে সকাল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরিশাল থেকে ভোলার উদ্দেশে ১৪টি লঞ্চ ছেড়ে যেত। সব লঞ্চই ঘাটে রয়েছে। লঞ্চগুলো কেন ছেড়ে যাচ্ছে না সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি এই কর্মকর্তা।
ভোলা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ ট্রুম্যান বলেন, বুধবার থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। স্পিডবোটগুলো আটক করে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাটে সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা। নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা চালানো হচ্ছে।
ট্রুম্যান আরো বলেন, ভোলা থেকে ২৫ হাজার নেতাকর্মী গণসমাবেশে অংশগ্রহণের কথা ছিল। তবে এখন লালমোহন চরফ্যাশন ও মনপুরা দুর্গার নেতাকর্মীদের গণসমাবেশে যোগদানের বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।