সাতক্ষীরায় ৯৯৯-এ ফোন করে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেয়েছে একদল মাছ চোর। ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে তারা। পরে গণপিটুনি থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সাহায্য প্রার্থনা করলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। আজ সোমবার ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পায়রাডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
৯৯৯-এ ফোন পেয়ে সদর থানার পুলিশ গিয়ে ওই পাঁচ মাছ চোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটক হওয়া সকলে চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছে।
আটককৃতরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মোস্তাকিন হোসেন, মিজানুর রহমান, হুসাইন বাবু ও শাহারুল ইসলাম।
পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ঘের মালিক শরিফুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরা সদরের পায়রাডাঙ্গা দক্ষিণ বিলে পাঁচ বিঘার একটি মৎস্য ঘের রয়েছে তাদের। রবিবার দিবাগত রাতে পাঁচজন চোর জাল দিয়ে তাদের ঘের থেকে মাছ ধরতে শুরু করেন। বিষয়টি পার্শ্ববর্তী ঘেরের দায়িত্বে থাকা আব্দুল্লাহ নামের একজন দেখতে পেয়ে মোবাইল ফোনে তাকে ঘটনাটি জানান।
পরে তাদের ধরার চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে এসে পার্শ্ববর্তী একটি ঘেরের বারান্দায় উঠে পড়েন। তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, আটকদের মধ্যে যে কেউ একজন জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে সাহায্য চেয়ে জানান, তারা নির্জন স্থানে একটি মাছের ঘেরের খুপরি ঘরে খুব বিপদে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করতে হবে। পরে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, ঘেরে মাছ চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন তারা। স্থানীয়দের পিটুনির হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশকে ফোন করেছিলেন তারা।
এ বিষয়ে ঘেরের মালিক শারিফুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি চুরির মামলা করেছেন। তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।