1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

ফাতেমার ‘সহায়তা’ হিসাবে জমা আছে ১৪ লাখ টাকা: ডিসি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২

ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যুর আগ মুহূর্তে সড়কে জন্ম নেওয়া শিশু ফাতেমাকে ক্ষতিপূরণের পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে কি না, তা জানাতে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।

স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়, ‘ট্রাস্টি বোর্ড, বিআরটিএ তহবিল থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পিতা মাতার নবজাতক শিশুর অভিভাবককে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত পাঁচ লক্ষ টাকার ক্রস চেক সোনালী ব্যাংক, ত্রিশাল শাখায় “রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক শিশু ও অপর দুই সন্তানের সহায়তা হিসাব”-এ জমা আছে। এই টাকার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গের প্রদত্ত টাকাও ঐ একাউন্টে জমা হচ্ছে। অ্যাকাউন্ট নম্বর ৩৩২৪১০১০২৮৭২৮, সোনালী ব্যাংক, ত্রিশাল শাখা।’

স্ট্যাটাসটিতে আরও বলা হয়, ‘এই একাউন্ট পরিচালনা করছেন শিশুর অভিভাবক দাদা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ত্রিশাল। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। যৌক্তিক প্রয়োজনে শিশু ও তার পরিবারের কল্যানের জন্য এই একাউন্ট থেকে খরচ করা হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পর্যন্ত এই হিসাবে জমা হয়েছে ১৪ লাখ ২৮ হাজার ৫০২ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ২৫ টাকা। বর্তমানে জমা আছে ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭৭ টাকা। শিশুটি বর্তমানে সরকারি খরচে ঢাকার ছোটমনি নিবাসে চিকিৎসাসহ উন্নতমানের সেবাসহ লালিত পালিত হচ্ছে। নবজাতকের দাদীকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই পরিবারের যেনো কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন ত্রিশাল উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ভুক্তভোগী পরিবারের জন্য একটি পাকা ঘর তৈরি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

এর আগে, শিশু ফাতেমার কল্যাণে ব্যয় করার জন্য ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঁচ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড। তবে “জেলা প্রশাসক সেই টাকা শিশু ফাতেমার কল্যাণে ব্যয়ের ব্যবস্থা না করে শিশুর পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে জমা রেখেছেন”-এমনটি জানিয়ে বৃহস্পতিবার রিট আবেদন করা হয় হাইকোর্টে। সেই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসাইন। পরে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসককে শোকজ করেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই ত্রিশাল পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ওই দুর্ঘটনায় ত্রিশালের রাইমনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (৪০), তার স্ত্রী রত্না বেগম (৩০) এবং মেয়ে সানজিদা খাতুন (৬) মারা যায়। মৃত্যুর আগে রত্না বেগম সড়কেই এক নবজাতকের জন্ম দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩