জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় কারা অধিদপ্তরের সাময়িক বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) বজলুর রশীদকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাঁকে তিন কোটি ১৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন আজ রোববার এই রায় দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সরকারি কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, রায় ঘোষণার পর আসামি বজলুর রশীদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রায় তিন বছর আগে ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বজলুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে দুদক। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় আসামি বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। আর ওই বছরের ২২ অক্টোবর বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বজলুর রশীদ রূপায়ণ হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরোনো) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২ হাজার ৯৮১ বর্গফুট আয়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। এর মধ্যে তিনি অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন।
এই অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, তার সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি। তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর আয়কর নথিতে ঘোষণা দেননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ।