1. info@provatferri.com : admin :
  2. provatferri.bd@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শনিবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ডেভিল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপারেশন চলবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অপারেশন ডেভিল হান্ট: দ্বিতীয় দিনে গাজীপুরে গ্রেফতার অন্তত ১০০ ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি শ্রীলঙ্কায় দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বানরকে দায়ী করলেন মন্ত্রী জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা থেকে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান গাজীপুরে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত ৫ জন ঢামেকে ভর্তি গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে বিএসএমএমইউয়ে নতুন নামের ব্যানার, বাদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ৬৫৩১ জন প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে বাতিল ধানমন্ডি ৩২ এসে এক নারী ও পুরুষের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, অতঃপর…

ভোলায় আধুনিক কিল্লায় রক্ষা মহিষের

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২২

ভোলায় জলোচ্ছ্বাস থেকে চরাঞ্চলের হাজারো মহিষকে সুরক্ষা দিয়েছে আধুনিক কিল্লা। জোয়ারে উপকূলের নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হলেও রক্ষা পাচ্ছে মহিষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছরই মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঝড়-জলোচ্ছ্বাস এলেই জোয়ারের পানিতে ভেসে যায় ভোলার উপকূলের শত শত মহিষ। অনেক সময় বজ্রপাত বা পানিতে ডুবেও মারা যায় এসব মহিষ। এতে লোকসানের মুখে পড়তেন বাথানিরা।

ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহসেন ও ইয়াসের প্রভাবে উপকূলে ৪-৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসে মারা গেছে বহু মহিষ। এ ছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে সারা বছরই অমাবস্যা এবং পূর্ণিমার জোয়ারে প্রভাবে প্লাবিত হয় উপকূল। তখন জোয়ারে ভেসে যায় মহিষ। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। উপকূলের কিছু এলাকায় মাটির কিল্লা থাকলেও সেগুলো টেকসই না থাকায় দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পায় না মহিষগুলো।

মহিষের পরিবেশগত ও টেকসই উন্নয়ন এবং মহিষের মৃত্যু ও ক্ষতি এড়াতে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত করেছে আধুনিক কিল্লা। গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে গত বছর এবং এ বছর আধুনিক সুবিধার তিনটি কিল্লা ভোলার চরচটকিমারা, ভেলুমিয়ার চন্দ্র প্রসাদ ও মাঝের চরে নির্মাণ করা হয়।

নদীর মধ্য দুর্গম চরে পাকা ভবন, বজ্রনিরোধ দণ্ড, সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও সৌর বিদ্যুতায়ন সুবিধাসহ আধুনিক এই কিল্লা থাকায় প্রাকৃতিক যেকোনো দুর্যোগে এখন রক্ষা পাচ্ছে মহিষ। এখানে মহিষের চিকিৎসার ব্যবস্থা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশের ব্যবস্থা, বাথানিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে একদিকে যেমন মহিষ পালনে বাথানিদের আগ্রহ বেড়েছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণে সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে মহিষের খামারে। এতে বাথানিরাও দারুণ খুশি।

চন্দ্র প্রসাদ গ্রামের বাথানি রেজাউল হাওলাদার জানান, তাঁর ৪০টি মহিষ রয়েছে। আগের সেসব মহিষ মাটির কিল্লায় রাখতেন; কিন্তু সে কিল্লাও পানিতে ডুবে যেত। ভেসে যেত মহিষ আবার জলাবদ্ধতায় মহিষ অসুস্থ হয়ে পড়ত। এতে প্রতিবছরই লোকসান গুনতে হতো। আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করায় তাদের মহিষ অনেক নিরাপদ এবং সুরক্ষিত আছে।

বাথানি বাশার জানান, তাঁর ৩৫টি মহিষ থাকলেও ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় সেগুলো রাখার সুব্যবস্থা ছিল না। এখন চরে আধুনিক কিল্লা থাকায় অনেকটাই নিরাপদ মহিষগুলো।

গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থার সহকারী পরিচালক ডা. তরুণ কুমার পাল বলেন, ‘এমন আধুনিক কিল্লা উপকূলের সব স্থানে নির্মিত হলে বাথানিরা উপকৃত হবেন। মহিষ পালন আরও সম্প্রসারিত হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও সৃষ্টি হবে।’

ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘গ্রামীণ জনউন্নয়ন সংস্থা ভোলার তিনটি চরে আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করেছে। এতে মহিষ পালনের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে। এসব কিল্লা অনেকটাই নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত। যে কারণে দুর্যোগের সময় মহিষ ভেসে যাওয়া, রোগ-বালাইতে আক্রান্ত বা মহিষের মৃত্যু কমে যাবে।’

প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোলায় ২৫টি চরে এক লাখের বেশি মহিষ রয়েছে, যা থেকে প্রতিবছরই ১৬ হাজার টন দুধ উৎপাদন হয়ে থাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩