অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় চাঁদপুরের ‘বালুখেকো’ খ্যাত বিতর্কিত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সেলিম খানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি এ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। ওই দিন মামলায় দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর খুরশিদ আলম খান ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম জামিনের পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে আদালত সেলিম খানের বিষয়ে মামলার আগে দুদক যে অনুসন্ধান করেছিল সেই অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেখতে চেয়ে ১২ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করেন। এ দিন পর্যন্ত আসামি আইনজীবীর জিম্মায় ছিলেন।
সেদিনের আদেশ অনুুযায়ী বুধবার দুদকের আইনজীবীরা অনুসন্ধান প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। আসামি সেলিম খানও আদালতে হাজির হন। উভয় পক্ষে শুনানির পর এবং আদালত অনুসন্ধান প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১ আগস্ট দুদকের সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, সেলিম খান অবৈধ উপায়ে ৩৪ কোটি ৫৩ লাখ ৮১ হাজার ১১৯ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে অর্জন করে নিজ ভোগদখলে রেখেছেন। এছাড়া তিনি ৬৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
মামলা দায়েরের পর গত ১৪ই সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে ৪ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চার সপ্তাহ পর তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সেলিম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুদক। গত ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত তার জামিন বাতিল করে গত ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।