1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

১৫৫ কিমি হেঁটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হাবিবুর

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২

প্রতিবন্ধীদের জন্য গড়ে তোলা দেশের সব বিদ্যালয় এমপিওভুক্ত করার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাত করতে চান দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান। নিজের দাবির কথা লেখা পোস্টার বুকে নিয়ে গত রোববার বিকেলে তিনি সাদাছড়ি হাতে নেত্রকোনা থেকে হাঁটা শুরু করেন। সোমবার দুপুরে তিনি ময়মনসিংহ নগর অতিক্রম করেন।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমান নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের সাজিউড়া অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও জেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব। নেত্রকোনা থেকে সড়কপথে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত ১৫৫ কিলোমিটার দূরত্বের পথ হেঁটে পাড়ি দেবেন তিনি।

নেত্রকোনা জেলায় মোট ২৬টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে বুদ্ধি, বাক, দৃষ্টি, অটিজম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন। এসব বিদ্যালয় এমপিওভুক্তি করার জন্য ২০২০ সালে অনলাইনে আবেদন করা হয়। এরমধ্যে জেলায় মাত্র একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় এমপিওভুক্তি হয়েছে।

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, ১৯৯৭ সালে সদর উপজেলার সাজিউড়া গ্রামে ২০ শতক জমির ওপর সাজিউড়া অটিজম ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি তিনি স্থাপন করেন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে বুদ্ধি, বাক, দৃষ্টি, অটিজম ও শারীরিক মিলিয়ে মোট ১৬৪ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। শিক্ষক আছেন ছয়জন। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুবিধাও রয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সহায়তায় কোনো রকমে চলছে বিদ্যালয়টি। এ অবস্থায় শিক্ষকেরা বিদ্যালয় থেকে তেমন কোনো আর্থিক সহায়তা না পেয়ে সীমাহীন কষ্টে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হবে এমন আশায় তারা বুক বেঁধে দিনাতিপাত করছেন। এমন অবস্থা জেলার প্রায় সব কটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের। এ কারণে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আশা পূরণের দাবি নিয়েই তাদের প্রতিনিধি হিসেবে জীবনের মায়া ত্যাগ করে এই সাহসী কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি।

ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে নগরীর মাসকান্দা এলাকায় কয়েকটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পদযাত্রায় সংহতি জানান। তারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান হাবিবকে। এরপর আবারও তপ্ত রোদে পিচঢালা পথে সাদাছড়ি হাতে হাঁটতে থাকেন হাবিবুর। কিছুদূর এগিয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে মোছেন কপালের ঘাম। এরই ফাঁকে কথা হয় হাবিবুরের সঙ্গে।

হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বিদ্যালয়ের ১৫ বছর পর প্রতিষ্ঠা হয়েও এমন একটি বিদ্যালয় সরকারি সুবিধার আওতায় এসেছে। কিন্তু আমার বিদ্যালয়টি এখনও ধুঁকছে। বিদ্যালয়টির জন্য মন্ত্রীদের কাছে বহুবার গেছি, অনেক আবেদন করেছি, অনেক তদন্ত হয়েছে কিন্তু কাজ কিছুই হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এ বিষয়ে নাকি কেউ সমাধান দিতে পারবেন না। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করে প্রতিবন্ধীদের বিদ্যালয়গুলোর দুরবস্থার কথা তুলে ধরতেই আমি হাঁটছি।

তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা বলতে পারলে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়গুলোতে সুদিন ফিরে আসবে। এমপিওভুক্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে বিদ্যালয়গুলো। প্রতিবন্ধীদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানোর কার্যক্রম আরও বেগবান হবে। আমার আত্মত্যাগের মাধ্যমেও যদি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বীকৃতি পায় তাতেই আমার সার্থকতা।

প্রতিদিন কমপক্ষে ২৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে এক সপ্তাহের মধ্যে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছার আশা প্রতিবন্ধী শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়ানো এ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর।

হাবিবুর রহমানের বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলার সাজিউড়া গ্রামে। ১৯৯৬ সালে এসএসসি ও ১৯৯৮ সালে নেত্রকোনার চন্দ্রনাথ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি। এরপর মদনপুর শাহ সুলতান কলেজ থেকে সম্পন্ন করেন ডিগ্রিও।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩