কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানের সিন্দুকে এবার ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং কিছু বৈদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে। শনিবার (০১ অক্টোবর) সকাল ৮টায় মসজিদের আটটি দানসিন্দুক খোলা হয়। এরপর দিনভর চলে টাকা গণনার কাজ। প্রতি তিন মাস পর পর সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
এর আগে গত ২ জুলাই এগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৮ হাজার ৪১৫ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।
এবার টাকা গণনার সময় উপস্থিত ছিলেন- কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ. টি. এম ফরহাদ চৌধুরী, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী এবং মোছাম্মৎ নাবিলা ফেরদৌস। মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামসহ মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গণনায় অংশ নেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ. টি. এম. ফরহাদ চৌধুরী জানান, সকাল ৮টার দিকে দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়। দিনভর টাকা গণনার কাজ চলে। এবার রেকর্ড পরিমাণ ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং কিছু বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া অর্থ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। জেলা শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ১০ শতাংশ জমির ওপর মসজিদটি গড়ে উঠে। এটিকে কেন্দ্র করে একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।