শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগসহ দলের সব পদ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর শহরের উৎসব কমিউনিটি সেন্টারে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা কমিটির দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন ও উপদপ্তর সম্পাদক বিনয় কুমার সাহা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুমায়ুন কবীরকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান। এতে জেলা কমিটির ৭১ সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফখরুল মজিদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর। এর মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (১১) ধারা মোতাবেক তাঁকে (হুমায়ুন কবীর) দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগসহ দলের সব স্তরের পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের ওই সিদ্ধান্তের পর আজ বুধবার দুপুরে শহরের ধরমপুর এলাকায় হুমায়ুন কবীর তাঁর নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভায় তাঁর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক ও দলের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হয় না। দল চন্দন কুমার পালকে মনোনয়ন দেয়নি। শুধু সমর্থন দিয়েছে। এমনকি তাঁকে (চন্দন পাল) দলীয় প্রতীকও দেওয়া হয়নি। সুতরাং হুমায়ুন কবীর দলের প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন, এটি ঠিক নয়।
হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে যদি কাউকে বহিষ্কার করার প্রয়োজন হয়, তাহলে বিষয়টি কেন্দ্রীয় দপ্তরে পাঠাতে হবে। কাউকে বহিষ্কার করার এখতিয়ার একমাত্র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের, জেলা কমিটির নয়।