1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

১৪বার নদী ভাঙনের শিকারের পর তাকরীমের ঠাঁই হয় টিনের ঘরে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

পুরো নাম হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরীম। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা গ্রামের জরাজীর্ণ বাড়িতে জন্ম তাকরীমের। বয়স সবে মাত্র ১৩ বছর। এই ১৩ বছর বয়সেই বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করেছে দেশের নাম। সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জনকারী বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম।

শিশু বয়স থেকেই তাকরীম পড়াশুনার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে তাকরীম এই সুনাম অর্জন করেছে। তার এ সাফল্যে খুশি পরিবার ও এলাকাবাসী।

জানা যায়, কোরআন ও পড়াশুনার প্রতি অদম্য আগ্রহের কাছে বারবার পারাজিত হয়েছে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা। তাই ছোট বয়স থেকেই একের পর এক অর্জন করে গেছেন সাফল্যের মুকুট। সৌদি আরবের পবিত্র মক্কায় ৪২ তম বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় ১১১ দেশের ১৫৩ হাফেজের মধ্যকার প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করে তাকরীম।

তাকরীমের জন্ম টাঙ্গাইলে হলেও তার দাদার বাড়ি সিরাজগঞ্জের চৌহালীর চরাঞ্চলে। ১৪ বার নদী ভাঙনের শিকার হবার পর ২০১২ সালে তার বাবা স্থায়ী বসতি গড়েন টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ভাদ্রা এলাকায়। বাবা আব্দুর রহমান সাভারের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন (দারুল উলুম মাদ্রাসা সাভার) মা গৃহিণী। এই পরীবারের তিন সন্তানের মাঝে তার অবস্থান মেঝো। তাকরীমের ছয় বছর বয়সে তার মা অসুস্থ হলে বাবার কাছে থেকেই পড়াশুনা শুরু। ছোট বেলা থেকেই সে ছিল অদম্য মেধাবী ও পড়াশুনার প্রতি আগ্রহী।

তাকরীমের মা জানান, শিশু বয়স থেকেই তাকরীম পড়াশুনার প্রতি অনেক বেশি আগ্রহী। অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে তাকরীম এই সুনাম অর্জন করেছে। তার এ সাফল্যে খুশি পরিবারের সবাই।

তাকরীমের স্বজন ও এলাকাবাসী বলেন, তার এই অর্জনে গর্বিত সকলেই। তাকরীমের এ সাফল্য শুধু ভাদ্রা গ্রামের নয়। তাকরীমের এ অর্জন, বাংলাদেশের অর্জন। তারা সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগীতার দাবি জানিয়েছেন।

নাগরপুর উপজেলার ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, এর আগেও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছিল। এবার আরও বড় পরিসরে সংবর্ধনা দেয়ার কথা জানালেন স্থানীয় ইউপি সদস্য।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, তাকরীমের এ সাফল্যে আমরা সত্যিই আনন্দিত। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার পরিবারের প্রতি সব রকমের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিবো।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মার্চে ইরানে প্রথম, মে মাসে লিবিয়ায় সপ্তম স্থান ও ২০২০ সালে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয় সালেহ আহমেদ তাকরীম।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩