খুলনায় নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমকে (৫২) ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা এলাকা থেকে তাঁকে জীবিত উদ্ধার করে খুলনা মহানগর পুলিশের একটি দল।
বোয়ালমারী থানার ওসি আব্দুল ওহাব আজকের পত্রিকাকে জানান, খুলনা মহানগর পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাঁর থানা এলাকা থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে।
গত ২৭ আগস্ট রাতে খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকায় পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম। ঘণ্টা পার হলেও তিনি বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে সন্তানেরা নিচে নেমে তাঁর ব্যবহৃত স্যান্ডেল, ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব স্থানে খুঁজেও না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে খুলনা মহানগরের দৌলতপুর থানায় মামলা করেন তাঁর মেয়ে মরিয়ম মান্নান। এ মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইয়ে হস্তান্তরের আদেশ দেন আদালত। এরপর প্রক্রিয়া মেনে ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।
এদিকে গত ১০ সেপ্টেম্বর সকালে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানার বহরদার বাজারে অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার হয়। দুই দিন পর ১২ সেপ্টেম্বর মরদেহটি দাফন করা হয়। এর আগে ময়নাতদন্তও সম্পন্ন হয়। ডিএনএ টেস্ট করতে প্রয়োজনীয় আলামতও সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বস্তাবন্দী মরদেহ শনাক্তে ফুলপুর থানায় মরিয়ম মান্নানবস্তাবন্দী মরদেহ শনাক্তে ফুলপুর থানায় মরিয়ম মান্নান
মরদেহটি খুলনা থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমের (৫২) বলে দাবি করেছেন তাঁর মেয়ে মরিয়ম মান্নান। এরপর উদ্ধারকৃত নারীর পোশাক ও আলামত দেখে দাবি করেন, মরদেহটি তাঁর মায়ের। মায়ের মরদেহের খোঁজে চার বোন মরিয়ম মান্নান, কানিজ ফাতেমা, মাহফুজা আক্তার ও আদুরী আক্তার শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় পৌঁছান। ডিএনএ টেস্টের জন্য ফুলপুর থানায় আবেদন করেন মরিয়ম মান্নান।