নেত্রকোনা বড় স্টেশনে ট্রেনের একটি আসনের বিপরীতে দুই টিকিট বিক্রির অভিযোগ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৪৪ নম্বর মহুয়া কমিউটার ট্রেনের বুকিং মাস্টার সাইদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই টাকা জরিমানা করে। জরিমানার ২৫ শতাংশ টাকা অভিযোগকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নেত্রকোনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট শহরের সাতপাই এলাকার বাসিন্দা রাজিব সরকার (৩৪) নেত্রকোনা বড় স্টেশনে ৪৪ নম্বর মহুয়া কমিউটার ট্রেন কাউন্টার থেকে নেত্রকোনা থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের টিকিট সংগ্রহ করতে যান। এ সময় তাঁকে একটি আসনের বিপরীতে দুটি টিকিট কাটতে বাধ্য করা হয়।
পরে তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। শুনানিতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় আজ দুপুরে টিকিট কাউন্টারের বুকিং মাস্টার সাইদুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে নিয়ম অনুযায়ী জরিমানা করা টাকার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ২ হাজার ৫০০ টাকা অভিযোগকারী রাজিব সরকারের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক উসমান গনি বলেন, দুটি টিকিটের বিনিময়ে একটি আসন বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বুকিং মাস্টার সাইদুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নেত্রকোনা বড় স্টেশনের মাস্টার নাজমুল হোসেন খান বলেন, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার রেলপথ আছে। ওই পথে ১২টি স্টেশন আছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কমিউটার ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ নেই। প্রায় প্রতিটি স্টেশনে কমিউটার ট্রেনের টিকিট দেওয়ার জন্য একজন করে বুকিং মাস্টার রয়েছে। টিকিট বিক্রি থেকে বুকিং মাস্টার কমিশন পান।